প্রকাশিত: Mon, Mar 25, 2024 12:43 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 5:32 PM

[১]মস্কো হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ রাশিয়ার

ইকবাল খান: [২] মস্কোর ক্রোকাস হলে সন্ত্রাসী হামলায় ইউক্রেনীয় সংযোগের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলল রাশিয়া।

[৩] শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি মস্কো হামলায় ইউক্রেনীয় জড়িত থাকার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে এমনও কোন ইঙ্গিত নেই যে ইউক্রেন, বা ইউক্রেনীয়রা গুলি চালানোর সাথে জড়িত। তদন্তের এই পর্যায়ে ইউক্রেন সংযোগের কথা বলাটা সমীচীন হবে না।’’ সূত্র: এনবিসি

[৪] জন কিরবির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবারই এক্স হ্যান্ডলে পাল্টা লেখেন, ‘‘হোয়াইট হাউস বলছে যে তারা মস্কো হামলার সঙ্গে ইউক্রেন জড়িত, এমন কোনও ইঙ্গিত দেখতে পায়নি। ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা কিসের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্তে এলেন? যদি আমেরিকার কাছে এই বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে তবে তা অবিলম্বে রাশিয়ার সঙ্গে শেয়ার করা উচিত। আর তা যদি না থাকে, তা হলে কাউকে প্রশ্রয় দেওয়ার হোয়াইট হাউসের অধিকার নেই।’’সূত্র: আরটি

[৫] এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, মার্চের শুরুতেই রাশিয়ার উপরে আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের আর এক মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন শনিবার সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

[৬] তিনি বলেছেন, ‘‘এই মাসের শুরুতে আমেরিকার কাছে মস্কোয় পরিকল্পিত নাশকতার সম্ভাবনার তথ্য ছিল। সম্ভাব্য বড় সমাবেশ, কনসার্ট ইত্যাদি এড়িয়ে চলার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ায় অবস্থানরত আমেরিকান নাগরিকদের সেই মর্মে সতর্কও করেছিল।’’ মারিয়ার বক্তব্যের সাপেক্ষে অ্যাড্রিয়েন দাবি করেন, দায়িত্বশীলতার নীতি মেনেই আমেরিকা এই তথ্য যথাসময়ে জানিয়েছিল। সূত্র: আনন্দবাজার

[৭] শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিন একদিনের এই রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার দেশটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

[৮] টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন যে, হামলার ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদেরকে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

[৯] শুক্রবার মস্কোর ক্রোকাস সিটিতে একটি কনসার্ট চলাকালে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই হামলায় ১৩৩ জন নিহত হয়।